দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে অটোবাইক এখন সাধারণ জনগণের মৃত্যু ও যন্ত্রণার দানবে পরিণত হয়েছে। এই সব যন্ত্রদানবের নিয়ন্ত্রণ কিভাবে হবে, এতে সন্ধিহান সবাই। ব্যাটারিচালিত অটোবাইক নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। এ সমস্যা প্রকট কিন্তু সমাধানের পদক্ষেপ প্রকট নয়। যেন দেখার কেউ নেই?
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় প্রায় ১০/১২হাজার ব্যাটারি চালিত অটোবাইক চলছে। ১০ থেকে ১২হাজার বেকারত্ব দূর হয়েছে এবং তাদের দিয়ে চলছে পরিবার। নিম্নবিত্ত, শিক্ষিত বেকাররা এই পেশাকে জীবন ধারণের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। অটোবাইক বন্ধ করে দিলে ১০ থেকে ১২ হাজার বেকারত্ব আবারও ঘাড়ে চেপে পড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ।
অন্যদিকে এই ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের কারণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। অটোবাইকগুলো ইঞ্জিনচালিত না হওয়ার কারণে বিআরটিএ মটরযান আইনের আওতায় লাইসেন্স প্রদান করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোবাইক চালকদের প্রশিক্ষণের কোন ব্যবস্থা নেই ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। প্রাণ দিতে হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষকে।
ব্যাটারিচালিত অটোবাইকের সমস্যা সমাধানে লাইসেন্স প্রদান, নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণ ও রাস্তা প্রশস্ত করলে অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।